মহুয়া রায়চৌধুরী - রুপালি পর্দার প্রতিভাময়ী এক অভিনেত্রী

মহুয়া রায়চৌধুরী

মহুয়া রায় চৌধুরীর জীবন কাহিনী -

বাংলা সিনেমার জগতে কালের বিবর্তনে বহু অভিনেত্রী এসেছেন। কেউ কেউ অসামান্য সুন্দরী আবার কেউ বা গ্লামারাস আবার কেউ কেউ আপন অভিনয়ের দক্ষতায় দর্শকদের মন ছুয়ে গেছেন। এরকম ই একজন অভিনেত্রী এসেছিলেন বাংলা সিনেমার জগতে যিনি সুন্দরী তো বটেই পাশাপাশি তাঁর ন্যাচরাল একটিং দিয়ে সকলের মন জয় করতে পেরেছিলেন তিনি হলেন মহুয়া রায়চৌধুরী। বাংলা সিনেমাতে যতজন পাওয়ার ফুল হিরোইন'রা কাজ করেছেন তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম

মহুয়া রায়চৌধুরী জন্ম ১৯৫৮ সালের  ২৪ সেপ্টেম্বরে। বাবা নীলাঞ্জন রায়চৌধুরী পেশায় ছিলেন একজন নৃত্যশিল্পী। জানা যায়, তিনি উদয় শঙ্করের দলে নাচতেন। সাংসারিক আর্থিক টানা-পোড়নের জন্যে মহুয়া খুব একটা লেখাপড়া করতে পারেনি। কিশোর বয়স থেকে বিভিন্ন ফাংশনে ছোট্ট মহুয়া সোনালি রায় নামে নাচ করতেন ও বিভিন্ন নাচের অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন। সোনালি নাম ছাড়াও তাঁর আরেকটি নাম ছিলো - শিপ্রা

তেমনই উত্তর কলকাতার চৌধুরীপাড়ার একটি অনুষ্ঠানে দর্শকের আসনে বসে আছেন সুচিত্রা সেন। অনুষ্ঠানে গান গাইবেন শ্যামল মিত্রহেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মত সেরা শিল্পীরা। সেখানে Dil Vil Pyar Vyar, Mein Kya Jaanu Re গানের তালে তাল মিলিয়ে শুরু করলেন নাচ। সেদিনের সেই ছোট্ট মেয়েটির নাচ দেখে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলো সবাই। এরকমই একটা অনুষ্ঠানে নাচ দেখে পছন্দ হয়েছিলো অভিনেতা ও প্রযোজক সুখেন দাসের

সে সময়ে সুখেন বাবুর ইতোমধ্যে দু'টো সিনেমা রিলিজ হয়ে গিয়েছিলো এবং তৃতীয় সিনেমা নয়া মিছিলের জন্যে নতুন হিরোইন খুজছিলেন তখন সোনালি কে দেখে সুখেন বাবুর মনে হলো এই মেয়েটা তার সিনেমার হিরোইন হতে পারে। নির্দিষ্ট দিনে বাবা নীলাঞ্জন রায়চৌধুরীর হাত ধরে সোনালি এলো স্টুডিও পাড়ায়। নয়া মিছিল সিনেমার পরিচালক ছিলেন পীযুষ কান্তি গাঙ্গুলী

পীযুষ বাবু অনেকক্ষন সোনালির সঙ্গে কথা বললেন; তারপর বললেন - নাহ ওকে দিয়ে চলবে না। এমন রোগা মেয়ে তার সিনেমার নায়িকা চরিত্রে একদম মানাবে না। এক কথায় রিজেক্ট করে দিলেন। সেদিন বাতিল হবার অপমান যথেষ্ট গায়ে লেগেছিলো সোনালির। মনে মনে সে প্রতিজ্ঞা করেছিলো আজ আমি এসেছি একদিন সবাই আমার কাছে আসবে

সত্যি সত্যিই তাই হয়েছিলো। বাংলা সিনেমা জগত এক সময় চমকে গিয়েছিলো এরকম একজন ন্যাচরাল একট্রেস কে দেখে। উত্তম কুমারের নির্দেশে একটি জনপ্রিয় সিনেমাতে সুখেন দাস মহুয়াকে কাস্ট করেছিলেন আর সে সিনেমাও হয়েছিলো সুপার-ডুপার হিট

এমন সময় খবর পাওয়া গেলো নতুন সিনেমার জন্য নতুন মুখ খুজছেন তরুণ মজুমদার। একদিন শাড়ি পড়ে মাত্র ১৩ বছর বয়সে হাজির হলেন তরুণ বাবুর সামনে। কথা বলে বেশ পছন্দ হলো তাঁর বিশেষ করে মেয়েটির চোখ ভীষন এক্সপ্রেসিভ কথা না বলেও অভিব্যাক্তিতে মেয়েটা যেন অভিনয় জানে। তরুণ বাবু সুযোগ দিলেন মেয়েটিকে তার সিনেমা শ্রীমান প্রথিরাজে অভিনয়ের। কিন্তু শর্ত একটাই ওই শিপ্রা বা সোনালি নাম চলবে না নতুন নামকরণ করা হলো মহুয়া নামে এবং এরপর থেকে সোনালি রায় হয়ে গেলেন মহুয়া রায়চৌধুরী। তরুণ মজুমদার ও তাঁর দাদার কীর্তি সিনেমাতে বাঙালীর কেমন প্রভাব পড়েছিলো সেটা জানতে এখানে ক্লিক করুন!

আরো পড়ুন -

তো তরুণ মজুমদারের হাত ধরে সিনেমার জগতে প্রবেশের পরে মহুয়ার গ্রুমিং এর দায়িত্ব পড়ে সন্ধ্যা রায়সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় এবং মাধবী মুখোপাধ্যায়ের উপর। মহুয়া যত্ন করে অভিনয় শিখেছিলেন এনাদের কাছ থেকে। পেয়েছিলেন অকাতর স্নেহ। নিজেও জুনিয়র আর্টিস্টদের স্নেহ করতেন। শ্রীমান প্রথিরাজ সিনেমাতে তরুণ বাবু খুব বেশি ডায়লগ দেননি অথচ অভিনয়ের যথেষ্ট সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি আর এখানেই মহুয়া রায়চৌধুরী বাজিমাত করে দিলেন। সিনেমাতে এক্সপ্রেশন ছিলো অনবদ্য আর গানে লিপ দেয়া ছিলো প্রফেশনাল এক্ট্রেসদের মতোই অথচ ওটাই ছিলো তার প্রথম সিনেমা। সিনেমা সুপার হিট সেই সংগে দর্শক শ্রোতারাও খুজে পেলেন তাদের আগামী দিনের নায়িকাকে আর এভাবেই শুরু হলো তার ফিল্মি ক্যারিয়ার। 

সাইলেন্ট অভিনয়ে মহুয়ার তুলনা মেলা ছিলো অসাধারণ। একবার একটা সিনামাতে বাবা হয়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বড়লোক পিতা, মেয়ের প্রেমিককে অপমান করেছেন এবং বলেছেন - মেয়ের উপযুক্ত হয়ে তবেই যেন ছেলেটি আসে এই দৃশ্যে মেয়ে, বাবার প্রতি যে এক্সপ্রেশন দিয়েছে তা আজ ও যে কোন অভিনেতার কাছে শেখার জিনিষ। তিনি যখন শ্রীমান প্রিথিরাজ সিনেমাতে অভিনয় করতে এলেন তখন ওই ছোট্ট মেয়েটিকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছিলেন সন্ধ্যা রায়। একটু একটু করে শিখিয়েছিলেন অভিনয়ের খুটিনাটি কিন্তু কি আশ্চর্য বেশি শেখাতেই হয়নি তাকে। অল্পতেই এক্সপার্ট হয়ে উঠেছিলেন মহুয়া

কিশোর বয়সে নাচের পাশাপাশি আরো একটা নেশা ছিলো তার তা হচ্ছে - ফুটবল। ছোট বেলায় দাদার সাথে ফুটবল খেলতে মাঠে যেতেন আর সেখানে প্লেয়ার কম পড়লেই নিজেই নেমে দাঁড়িয়ে পড়তেন গোল পোষ্টে। ইস্টবেঙ্গলের চরম ভক্ত ছিলেন মহুয়া এবং যেদিন মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের খেলা থাকতো সেদিন খেলার ওই দু'ঘন্টা ট্রানজিস্টর টিভির কাছ থেকে কেউ সরাতে পারতো না তাকে। প্রয়োজনে শুটিং বন্ধ হতে পারে কিন্তু খেলা ছাড়া যাবে না। ফুটবল প্রেমী বিধায় তিনি তাঁর ছেলের নাম রেখেছিলেন গোলা যিনি টোটা রায়চৌধুরী নামে পরিচিত যদিও তাঁর আসল নাম পুষ্পরাগ রায়চৌধুরী

মহুয়া এমনিতে খুব উচ্ছল ও প্রাণখোলা মেজাজে থাকতেন। যতক্ষন শুটিং স্পটে থাকতেন সারাক্ষন হই-হই করে কাটিয়ে দিতেন কিন্তু যখন অভিনয়ের টেক শুরু হতো তখন এক অন্য মানুষ হয়ে যেতেন তিনি। শোনা যায়, একবার পরিচালক নব্যেন্দু চ্যাটার্জি তার একটি সিনেমার জন্যে কাস্ট করলেন মহুয়া কে। চরিত্রটি ছিলো একজন চাষী বউয়ের। শুটিং এর দুদিন আগে নব্যেন্দু বাবু খেয়াল করলেন মহুয়ার ভ্রূ প্লাক করা। চাষী বউ এর "ভ্রূ প্লাক" করা? ভীষন রেগে গেলেন নব্যেন্দু বাবু। তখন মহুয়াকে সেই সিনেমা থেকে বাদ দেবেন বলেই ঠিক করলেন। তখন নব্যেন্দু চ্যাটার্জির বন্ধু-বান্ধবেরা তাকে বোঝালেন যে - "মহুয়া রায়চৌধুরী আপনার সিনেমার স্পিরিট টাকে ঠিক ধরতে পারেননি। তিনি টালি গঞ্জের এবং অন্যান্য কমার্শিয়াল ফিল্মের মতোই ভেবেছিলেন"

সিনেমার শুটিং দিন পনেরো পেছ'লে ব্যাপারটার একটা সমাধান হতে পারে। নব্যেন্দু চ্যাটার্জি তখন ব্যাপারটা বুঝলেন এবং শুটিংটা পিছিয়ে দিলেন। শুটিং শুরু হলো, নব্যেন্দু চ্যাটার্জি যেমন চেয়েছিলেন তেমন ই পেলেন মহুয়া রায়চৌধুরীকে। এবারে আর্থিক কারনে সিনেমার শুটিং একটানা হতে পারলো না। ধাপে ধাপে হতে লাগলো আর এভাবে অনেক দিন সময় নিয়ে নিলো সিনেমাটি। মহুয়া সেই সিনেমার জন্য এতটাই সিরিয়াস ছিলেন যে, যে'কদিন সিনেমার শুটিং চললো ততদিন তার ভ্রূ একবারের জন্যও প্লাক করেননি তিনি। এতোটাই ডেডিকেশন ছিলো তার সিনেমার প্রতি আর এ জন্যই তিনি ডিরেক্টরদের চোখের মণি ছিলেন

প্রায় শ'খানেক সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন মহুয়া। বেশ কিছু সিনেমা তিনি চলে যাবার পরে রিলিজ হয়েছিলো। শুধু বাংলা সিনেমাই নয় ১৯৮৪ সালে তপন সিংহ পরিচালিত প্রফুল্ল রায়ের গল্প অবলম্বনে নির্মিত Aadmi Aur Aurat বা Man and Woman টেলি ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন মহুয়া রায়চৌধুরী এবং তার বিপরীতে ছিলেন বোম্বের অমল পালেকর। সেই সিনামাতেও নিজের জাত চিনিয়ে ছিলেন মহুয়া। কমার্শিয়াল সিনেমাগুলির পাশাপাশি অন্য ধারার সিনেমাতেও যে তিনি সমান পারদর্শী সেটা তখনই বোঝা গিয়েছিলো। 

অভিনয়ে স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন মর্যাদাপূর্ণ BFJA পুরস্কার। বেশ খুশিও হয়েছিলেন পুরস্কার পেয়ে এবং পরবর্তীকালে Aadmi Aur Aurat সিনেমাতে অভিনয়ের জন্যে Best Actress হিসেবে Damascus International Film Festival থেকে পুরস্কার পেয়েছিলেন কিন্তু সে খবর তিনি জেনে যেতে পারেন নি কারন তার আগেই তিনি চলে গিয়েছিলেন এই পৃথিবী ছেড়ে। সব সিনেমাতেই যে তিনি খুব ভালো অভনয় করেছিলেন এমনটা কিন্তু নয় কিন্তু যেখানেই অভিনয়ের সুযোগ তিনি পেয়েছিলেন প্রমাণ করেছেন তিনি একজন জাত অভিনেত্রী। 

যখনকার সময়ের কথা বলছি অর্থাৎ ৮০ দশকের কথা সেই সময়ে মহুয়া রায়চৌধুরী একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী শুধু তাই নয় ওই সময়ের হায়েস্ট পেইড এক্ট্রেস ও ছিলেন। শুধু মহুয়া রায়চৌধুরীর নামেই সিনেমা তখন সুপারহিট হয়ে যাচ্ছে। শোনা যায়, অনেক অভিনেতারা তাঁর সাথে স্ক্রিন শেয়ার করতে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতেন কারন কখন যে তিনি শুটিং এ Improvise করবেন তা কেউ জানতো না।   

প্রতিটা শটে নিজেকে এমন ভাবে তুলে ধরতেন যে মহুয়ার সংগে স্ক্রিন শেয়ার করতে ঘোল খেয়ে যেতেন নামিদামী অভিনেতারাও অথচ তাপস পালের সাথে প্রথম সিনেমা নবাগত তাপস পাল কি অসম্ভব ভালো সেই সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন সেটা দাদার কীর্তি দেখলেই বুঝা যায়। অবশ্য এটা বলতে হবে যে - মহুয়া রায়চৌধুরী ভীষন কো-অপারেট করতেন তার কো-স্টারদের সাথে। 

ভালবাসা ভালবাসা সিনেমার শুটিং এর সময় তখন মহুয়া রায়চৌধুরী যাত্রার কাজে ব্যাস্ত ছিলেন তার মাঝে সেটে এসে জড়িয়ে ধরেছিলেন দেবশ্রী রায় কে। সিনেমাতে ভালো অভিনয় করার জন্যে। অসম্ভব মুডি ছিলেন মহুয়া। কখনো খোলামেলা আড্ডা আবার কখনো কখনো ভীষন চুপচাপ। শোনা যায় - অল্প বয়সে বিয়ে, সন্তান, সংসারে একমাত্র রোজগেরে হওয়ার চাপ তার উপর সাংসারিক অশান্তি সবটা নিয়ে টেনশনে থাকতেন সেই সময়ের টলিউডি অভিনেত্রী মহুয়া রায়চৌধুরী। কিন্তু যেহেতু তিনি ছিলেন জাত অভিনেতা তাই শুটিং শুরু হলেই ডুবে যেতেন চরিত্রে

শ্রীমান পৃথ্বীরাজ সিনেমা রিলিজ হয়েছিলো ১৯৭২ এ এবং সেই থেকে ১৯৮০ তে রিলিজ পাওয়া দাদার কীর্তি এই ৮ বছরে মহুয়ার কাজের জীবন এবং ব্যাক্তিগত জীবনে নানা ওঠা পড়া ঘটে গিয়েছে। কাজ তাকে যতটা সাফল্য, খ্যাতি, অর্থ, জশ দিয়েছে; সাংসারিক টানাপোড়ন তাকে ততটাই বিধ্বস্ত করেছে। তাপস পালের মতোই দাদার কৃতির আরেক কো-স্টার দেবশ্রী রায় খুব কাছ থেকে কিছু বছর দেখে ছিলেন মহুয়া রায়চৌধুরী কে। নানা মুহুর্তে তাদেরই নানা কথায় ধরা পড়েছে মহুয়ার জীবন কথা। 

আরো পড়ুন -

শেষ কথা - সময়ের হাত ধরে চলি কিন্তু সেই সময় ও কখনো কখনো হাত ছেড়ে দেয় বলে - যাবার সময় হলো তো! হ্যা! ঠিক তাই। যেতে তো হবে কিন্তু ভালোবাসার রেশটুকু থেকে যাবে; মহুয়া রায়চৌধুরী সময়ের অনেক আগেই এই পৃথিবী থেকে চলে গিয়েছেন যদি বেঁচে থাকতেন হয়তো আরো অনেক মাইলস্টোন তৈরি হতো কিন্তু ওই না পাওয়াই যেনো আরো অনেক বেশি তাঁর প্রতি দর্শকদের ভালোবাসাকে অফুরন্ত করেছে। 

শ্রীমান প্রিথিরাজে ঘোর সাওয়ার হয়ে যে মেয়েটা ঝড়ের মত প্রবেশ করেছিলো বাংলা সিনেমার জগতে সেই মেয়েই সবাইকে কাঁদিয়ে হঠাৎ ই বিদায় নিলেন এই পৃথিবী থেকে। বেঁচে থাকলে আরো কত অভিনয়, আরো খ্যাতি, আরো জশ পেতেন তিনি। মেনে নিতে হয় সব। বাংলা ছায়াছবির এই বিপুল ক্ষতি আমরাও ত মেনে নিয়েছি। 

ছোট্ট এক জীবনপঞ্জীতে পড়ে রয় কতই না ওঠা-পড়ার কাহিনী। সোনার প্রতিমা অকালে অসময়ে বিসর্জন হয়ে গেছে এটা আমাদেরি দুর্ভাগ্য। প্রকৃত প্রতিভা সত্যিই বড় ক্ষণ জন্মা। তাই মহুয়া রায়চৌধুরী আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন সব মায়ার ওপারে। চরণ ধরেও রাখা গেলনা দাদার কীর্তির গম্ভীর রোমান্টিক সরস্বতীকে। তাঁর অভিনীত শেষ সিনেমা ছিলো আশির্বাদ আর সেই সিনেমার গান দিয়ে শেষ করবো আজকের পোষ্ট... 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please validate the Captcha

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম