মার্কেটিংয়ের ৪ টা “P” এর ডেফিনেশন হচ্ছে - Product, Price, Place, এবং Promotion. মার্কেটার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার জন্য অবশ্যই মার্কেটিংয়ের এই ৪ টা “P” সম্পর্কে জানাটা জরুরী। মার্কেটিংয়ের এই ৪ টা “P” একটা চমৎকার অর্থ বহন করে। যেটা মাথায় রাখতে পারলে বিজনেসের ক্ষেত্রে অনেকটা উন্নতি সম্ভব। এই ৪ টা “P” আসলে, একটা আরেকটার সাথে কানেক্টেড। কিভাবে?
যেমন আপনার যদি কোন প্রোডাক্ট না থাকে তাহলে আপনি কিন্তু সেটার প্রাইসিং ঠিক করতে পারবেন না, যদি আপনি প্রোডাক্টের প্রাইসিং ঠিক করতে না পারেন তাহলে কোন প্লেস বা দোকান দেয়ার কোন মানে হয়না। আবার আপনার যদি কোন প্লেস বা দোকান না থাকে তাহলে কোথায় প্রমোশন বা প্রচারণা করবেন? রাইট? সো প্রত্যেকটা ডিসিশন কিন্তু প্রোডাক্ট থেকে শুরু হচ্ছে। এর জন্য মার্কেটিংয়ের ৪ টা “পি” এর প্রথম P হচ্ছে Product
{getToc} $title={ Table of Content }
মার্কেটিং করার জন্য প্রোডাক্ট অবশ্যই লাগবে, না হলে আপনি মার্কেটিং করতে পারবেন না। বিজনেসের ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট অবশ্যই দরকার তবে সার্ভিস অথবা স্কিল এর ক্ষেত্রে সরাসরি প্রোডাক্ট না হলেও চলে কিন্তু সার্ভিস এবং স্কিল দুটোই প্রোডাক্ট এর মধ্যে পরে
ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে যেকোন প্রোডাক্ট বাজারে আনলেই বা সবার কাছে মার্কেটিং করলেই যে চলবে এটা ঠিক না। আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে আপনার প্রোডাক্টের জেনুইন ক্রেতা কারা হতে পারে এবং কাদের কাছে আপনার প্রোডাক্ট এর সঠিক প্রচারণা বাঁ প্রমোশন করলে তারা অন্তত একবার আপনার প্রোডাক্টা কেনার কথা ভেবে দেখবে
ধরলাম আপনার কাছে একটা প্রোডাক্ট আছে,
স্কেটবোর্ড। আপনি স্কেটবোর্ড সেল করতে চাচ্ছেন এবং চিন্তা করলেন এটা সব বয়সের ব্যক্তি বর্গরা কিনবে তাহলে কিন্তু কাজ হবে না। কারন, আপনাকে জানতে হবে স্কেটবোর্ড কারা ইউজ করবে? ইয়ং জেনারেশনের ছেলে-মেয়েরা
স্কেটবোর্ড ইউজ করে তাইনা? বয়স্করা নিশ্চয় বুড়ো বয়সে স্কেটবোর্ড নিয়ে রাস্তায় নামবে না। তার নিশ্চয়ই চাইবে না এই বুড়ো বয়সে নিজের পা ভাঙতে। রাইট?
আচ্ছা এবার প্রোডাক্ট নিয়ে একটু ডিটেইল’সে বলি - দেখুন প্রোডাক্ট যেকোন কিছুই হতে পারে। আর সেই যেকোন প্রোডাক্ট বাজারে আনলেই চলবে না অবশ্যই সেই প্রোডাক্টের কিছু ফিচার থাকা চাই। সো প্রোডাক্টের মধ্যে প্রথমেই পড়ে ফিচার,
Features: ধরলাম আপনার সাথে থাকা মোবাইল টা যদি একটা প্রোডাক্ট হয় তাহলে অবশ্যই তার কিছু ফিচার’স আছে তাইনা? যেমন- একটা Crystal-Clear Display তার পরে Long-Lasting ব্যাটারি সাপোর্ট। NFC সাপোর্ট, একটা ভালো Camera । এগুলো হচ্ছে মোবাইলের এক-একটা ফিচার। সো আপনার প্রোডাক্ট যাই হোক না কেনো অবশ্যই তার কিছু ফিচার’স থাকা লাগবে। এরপরে যেটা আছে সেটা হচ্ছে কোয়ালিটি,
Quality: আপনার প্রোডাক্টের অবশ্যই কোয়ালিটি বা গুনগত মান থাকতে হবে। কারন মার্কেটে আপনার যারা কম্পিটিটর আছে তাদের প্রোডাক্টের থেকে আপনার প্রোডাক্টের কোয়ালিটি বেটার করতে হবে। একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন -
আপনার প্রোডাক্টের যদি কোয়ালিটি থাকে তাহলে আপনার প্রোডাক্টের কোয়ান্টিটির কথা চিন্তা করতে হবে না কিন্তু আপনার প্রোডাক্টের যদি কোন কোয়ালিটিই না থাকে তাহলে সেই প্রোডাক্টের কোয়ান্টিটি বাড়িয়ে আহামরি কোন লাভ হবে না। তাই আপনার প্রোডাক্টের অবশ্যই কোয়ালিটি থাকতে হবে মার্কেটে টিকে থাকার জন্য। এরপরে যেটা আছে সেটা হচ্ছে ব্রান্ডিং
Branding: আপনি মার্কেটে একটা প্রোডাক্ট লঞ্চ করার সময়ে আপনাকে অবশ্যই ব্রান্ডিং এর কথা মাথায় রাখতে হবে কারন যে প্রোডাক্ট’টা এখন সেল করছেন সেই প্রডাক্টটা একটা সময় হিউজ পরিমানে সেল হবে। হাজার হাজার মানুষ কিনবে তখন এই প্রডাক্টটা একটা ব্রান্ড ভ্যালু ক্রিয়েট করবে। যতবেশি প্রোডাক্ট সেল হবে ততবেশি ব্রান্ড-ভ্যালু ক্রিয়েট হবে। সো একটা প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে ব্রান্ড ভ্যালু অবশ্যই ইম্পরট্যান্ট। এরপরে আছে প্যাকেজিং
Packaging: যেকোন প্রাডাক্ট এর ক্ষেত্রে প্যাকেজিং খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটা প্রোডাক্টের গুনগত মান নির্ভর করে ভালো প্যাকেজিং উপর। সব সময় মনে রাখবেন। আপনার প্রোডাক্টের প্যাকেজ ডিজাইন হচ্ছে আপনার এবং কাস্টমারের সাথে প্রথম ইন্টারঅ্যাকশন
সো ভালো প্যাকেজিং শুধুমাত্র যে ব্র্যান্ডের পরিচয়ই দেবে না বরং কিছু গুণ এবং খ্যাতিও এনে দিতে পারে আপনার জন্যে। তাই প্যাকেজিং ব্যাপারটা প্রোডাক্টের জন্য অবশ্যই অবশ্যই ইম্পরট্যান্ট। এরপরে আছে সার্ভিস
Service: আপনার প্রডাক্টটা কতদিন যাবে বা এর লাস্টিং কতটুকু, কতদিন মানুষ ইউজ করতে পারবে, আপনার প্রডাক্টটা মানুষ রিটেক করতে পারছে কিনা এই বিষয়গুলো ডিপেন্ড করবে সার্ভিস এর উপর
Warranties: আপনি আপনার প্রোডাক্টের জন্য কোন ওয়ারেন্টি বা গ্যারান্টি রাখবেন কিনা বা আপনার যারা কম্পিটিটর আছে তারা সেইম প্রোডাক্টে কোন ওয়ারেন্টি বা গ্যারান্টি দিচ্ছে কিনা এই ব্যাপারটা মাথায় রেখে আপনাকে প্রোডাক্ট লঞ্চ করতে হবে
আপনার একটা প্রোডাক্ট বা সার্ভিস আছে সেটাতে তুলনা মূলক বাজারের চাহিদা, কম্পিটিশন, উৎপাদন খরচ, প্রোমোশন খরচ ইত্যাদি বিচার বিশ্লেষণ করে দাম নির্ধারণ করতে হবে
Pricing Strategy: Pricing Strategy একটা প্রোডাক্টের জন্য অবশ্যই গুরুত্বপুর্ন। আপনার কাছে একটা প্রোডাক্ট আছে তার দাম রাখলেন আকাশচুম্বী। আপনার প্রডাক্ট কি সেল হবে? নিশ্চয় না। আবার ধরুন সেইম প্রোডাক্ট আপনি কম দামে সেল করছেন যেটা আপনার কম্পিটিটরদের থেকেও কম। তখন সেটা সেল হবে? উত্তর হচ্ছে না। কারন তখন ক্রেতাদের কাছে সন্দেহ হবে প্রোডাক্টের গুনগত মান নিয়ে। অতএব আপনাকে আপনার প্রোডাক্টের দাম নির্ধারণ করার জন্য এমন একটা জায়গায় যেতে হবে যেখান থেকে ক্রেতা মনে করেন যে প্রোডাক্টের দাম খুব বেশি না আবার সেটা আয়ত্বের মাঝেই থাকবে
Pricing: ধরলাম আপনার একটা দোকান আছে এবং যেখানে আপনি কফি সেল করেন। আপনার দোকানের আশেপাশে আরো দোকান আছে যারা আপনার মত কফি সেল করছে। এখন আপনি আপনার কফি প্রতি কাপের জন্য দাম রাখলেন ৭০ টাকা এবং অন্যরা ৩০ টাকা করে রাখছে। এবার আপনি বলুন আপনার কফি কি সেল হবে? উত্তর হচ্ছে হ্যা হবে তবে সেটা ক্ষনিকের জন্য। ৭০ টাকা হয়তো হাইপের জন্য প্রথমে সেল হতে পারে তবে সেটা লং-লাস্টিং হবে না কারন সেইম কফি আশেপাশে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে; তাই আপনাকে অবশ্যই আপনার প্রোডাক্টের বাঁ সার্ভিসের সঠিক প্রাইসিং ঠিক করতে হবে
Allowance: আপনার প্রডাক্টের জন্য যে প্রাইসিং ঠিক করলেন সেটা কয়টা ইন্সটলমেন্টে পে করা যাবে এটার সাথে আসলে allowance টা ডিপেন্ড করে। মানে আপনার প্রোডাক্ট সেল হলে কাস্টমার একবারে পেমেন্ট না করে কয়টা ধাপে ধাপে পেমেন্ট করতে পারবে কি পারবে না এই ব্যাপারটা যদি ক্লিয়ার করে দেন তাহলে ভালো হয়
Discount: সেল বাড়াতে ডিসকাউন্ট অত্যন্ত উপযোগী একটা পদ্ধতি। আপনি এভাবে দিতে পারেন দু'টো টি-শার্ট কিনলে একটা স্পোর্টস ক্যাপ ফ্রি অথবা ৫টা টি-শার্ট কিনলে ১টা টি-শার্ট ফ্রি। প্রাইসিং এর ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে ডিসকাউন্ট অবশ্যই জরুরী!
Payment Terms: সব সময় চেষ্টা করবেন একের অধিক পেমেন্ট মেথড রাখার জন্য। কেউ হয়তো দেশের বাহিরের থেকেও আপনার প্রোডাক্ট কিনতে পারে। সেই জন্য আপনার গ্লোবাল পেমেন্ট মেথড রাখা উচিত
Place (Place in Marketing)
আপনার কাছে প্রোডাক্ট আছে এবং আপনি সেই প্রোডাক্টের এর সঠিক প্রাইসিংও ঠিক করলেন। এখন যেটা দরকার সেটা হচ্ছে একটা সঠিক প্লেস। প্লেসটা হচ্ছে আপনি যদি ট্রাডিশনাল ওয়েতে মার্কেটিং করেন মানে বলতে চাচ্ছি - অফলাইন মারকেটিং তাহলে আপনার দোকান টা কোথায় দিতে চাচ্ছেন সেটা হচ্ছে প্লেস আর যদি অনলাইনে বা ডিজিটাল ভাবে মার্কেটিং করেন মানে অনলাইন মার্কেটিং তাহলে কোন প্লাটফর্ম সিলেক্ট করছেন মার্কেটিং করার জন্য সেটা হচ্ছে আপনার প্লেস। এখন এই প্লেসের ভিতরে প্রথমেই আছে Channels
Channels: Channels হচ্ছে আমরা কতটা উপায়ে মার্কেটিং করবো, কতটা চ্যানেলে বা কতটা প্লাটফর্মে মার্কেটিং করবো সেটা। যেমন একটা প্রোডাক্টের জন্য যদি অফলাইনে মার্কেটিং করতে চাই তাহলে কিভাবে করতে পারি? আমরা পোস্টারিং করে মার্কেটিং করতে পারি, লিফলেট বিলিয়ে মার্কেটিং করতে পারি, ভিজিটিং কার্ড দিয়ে মার্কেটিং করতে পারি, বিলবোর্ডের মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারি, রেডিওর মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারি, মানুষের কাছে ফোনে SMS এর মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারি, মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে মার্কেটিং করতে পারি মানে ডোর টু ডোর মার্কেটিং আর যদি অনলাইনে মার্কেটিং করতে চাই তাহলে কিভাবে করতে পারি? আমরা SEO করে মার্কেটিং করতে পারি, আমরা SMM করে মার্কেটিং করতে পারি আমরা Email করে করেও মার্কেটিং করতে পারিও মানে হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সব মেথড ইউজ করে মার্কেটিং করতে পারি। এই সব গুলোই হচ্ছে প্লেসের ভিতরে Channels এর মাঝে পড়ে
Market Coverage: Market Coverage বলতে আসলে বুঝায় আপনি আপনার একটা প্রোডাক্টকে সেল করার জন্য কতদুর পর্যন্ত বা কতটুকু এরিয়া পর্যন্ত কাভার করতে পারবেন। যেমন ধরেন, আপনার একটা দোকান আছে অফলাইনে এবং সেটা ঢাকাতে এখন আপনি চাচ্ছেন আপনার প্রোডাক্টটা বগুড়াতে কোন একটা দোকানে পৌছাতে চাচ্ছেন। সেটা অবশ্যই আপনি পারবেন তবে এটা আপনি করবেন কিনা সেটা ডিপেন্ড করছে আপনার উপর; এখন এই যে ঢাকা থেকে বগুড়া পর্যন্ত কাভার করছেন এটাই মার্কেট কাভারেজ এর ভিতরে পড়ছে!
Assortment: Assortment হচ্ছে আপনি আসলে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসকে কিভাবে সাজাচ্ছেন এটা বুঝায়। এভাবে বলা যেতে পারে কয়টা শাখায় সাজাচ্ছেন। ধরলাম আপনার একটা অফলাইনে সার্ভিস আছে সেটাকে আপনি সব জায়গায় দিতে চাচ্ছেন। যেমনঃ এখানে
উদ্ভাস এর কথা বলা যেতে পারে; এদের সার্ভিস একই। সেই একই সার্ভিসকে বিভিন্ন শাখায় কনভার্ট করে দেয়া হয়েছে। এর জন্য দেখা যায় দেশের যেকোন জেলায় যেকোন শাখায় যাবেন তাদের সার্ভিস একই। আর অনলাইনের ক্ষেত্রে দেখা যায় আপনি আপনার সার্ভিস বা প্রোডাক্টকে আগে শুধুমাত্র ফেইজবুকে মার্কেটিং করতেন এখন সেটাকে ইন্সটাগ্রাম কিংবা টুইটারেও মার্কেটিং করছেন। মানে বলা যেতে পারে বিভিন্ন প্লাটফর্ম বা বিভিন্ন সোসাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মার্কেটিং করছেন। এটাই হচ্ছে Assortment
Location: Location হচ্ছে আপনি আপনার দোকান টা এক্সাকলি কোথায় দিতে চাচ্ছেন সেটাই প্রথমে সিলেক্ট করতে হবে। আমরা অনেক সময় না বুঝেই এমন এমন যায়গায় দোকান দিয়ে বসি যেখানে আমাদের প্রোডাক্ট সেল হয়না বা টার্গেটেড ক্রেতা খুজে পাইনা। আপনি কি ধরনের প্রোডাক্ট সেল করতে চাচ্ছেন সেটার উপর ডিপেন্ড করে আপনাকে Location অনুযায়ী দোকান দিতে হবে। এখন কোন দামী কোন প্রোডাক্ট নিয়ে যদি বস্তিতে একটা দোকান দিয়ে বসেন তাহলে তো সেল হবে না তাইনা? সো আপনাকে এমন একটা যায়গায় দোকান দিতে হবে যেখানে আপনার টার্গেটেড ক্রেতা পাওয়া যাবে ইভেন ফিউচারে যেন আপনার প্রোডাক্টের ভালো সেল হয়। এটা অনলাইনের ক্ষেত্রেও সেইম। ধরেন আপনি বাংলাদেশে একটা প্রোডাক্ট সেল করতে চাচ্ছেন এবং মার্কেটিং করছেন Russia কোন একটা সোসাল নেটওয়ার্কে লাইক
VK তে। তাহলে হবে?
VK তে বাংলাদেশী মানুষজন বলতে গেলে একদমই নেই। সো আপনাকে আপনার প্রোডাক্ট সেল করার জন্য সঠিক
Location খুজে নিতে হবে
Inventory: Inventory হচ্ছে, কোন প্লেসটা হচ্ছে মেইন প্লেস আর কোনটা হচ্ছে শাখা! আপনি দুইটা জায়গা থেকে আপনার প্রোডাক্ট সেল করতে পারেন; এক হচ্ছে মেইন প্লেস থেকে আরেকটা হচ্ছে বিভিন্ন শাখায় সেল করতে পারেন। Inventory ডিফাইন করে আপনি কি একচুয়েলি হোল সেল ডিরেক্টলি নাকি বিভিন্ন শাখা থেকে সেল করতে চাচ্ছেন; এটা অনলাইনের ক্ষেত্রেও সেইম প্রসেস
Transport: Transport হচ্ছে আপনি আপনার প্রোডাক্টকে ডেলিভারি করার জন্য কোনো ডেলিভারি চার্জ অথবা কোন কোন সার্ভিস দিচ্ছেন বা ট্রান্সপোর্টেশনের ব্যাবস্থা টা কি রকম, কতটা ইজি এবং কতটা তারাতারি আপনার প্রোডাক্ট টা ক্রেতার কাছে পৌছাবে সেটা নিশ্চিত করা
Promotion (Promotion in Marketing)
আপনার কাছে প্রোডাক্ট আছে, আপনি প্রডাক্টের সঠিক প্রাইসিং ঠিক করলেন, সেল করার জন্য সঠিক প্লেস আছে কিন্তু আপনি আপনার প্রোডাক্টের প্রোমোশন বা প্রচারণা করলেন না। সেল হবে? আপনার বিজনেসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে এই প্রোমোশন বা প্রচারণা আর এটা আপনাকে করতেই হবে বিজনেসে সাফল্য পেতে এবং টিকে থাকতে হলে। দেখুন আপনি বিজনেস করছেন কিসের জন্য? টাকা ইনিকামের জন্য রাইট? সো টাকা যখন কামাতেই হবে তাহলে ভালো ভাবেই কামাতে হবে। সো প্রোমোশনের ভিতরে প্রথমে আছে -
Sales Promotion: আপনার টার্গেট হচ্ছে আপনার প্রোডাক্ট সেল করতে হবে সেটা যে কোন ভাবেই। যত ধরনের প্রচারণা আছে, প্রায় ১৫০ এর অধীক মার্কেটিংয়ের টাইপ রয়েছে। আপনি প্রতিটা মার্কেটিংয়ের টাইপ’স কে ইউজ করে আপনার প্রোডাক্টের জন্য প্রমোশন করতে পারেন
Advertising: Advertising এর মেইন উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রোডাক্টকে মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়া, সেল করা না। আপনি আপনার কোন প্রোডাক্টকে সেল করার জন্য ক্রেতাকে সেই প্রোডাক্টের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে আপনি বিভিন্ন ভাবে Advertising করতে পারেন
Public Relations: মানুষের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করা বা আপনার প্রোডাক্টের বা ব্রান্ডের ভ্যালুটা বাড়ানো এই ব্যাপারটা Public Relation’s এর মাঝে পড়ে। ধরলাম, আপনি একটা প্রোডাক্ট ১০ জন মানুষের কাছে সেল করলেন এবার দেখা গেলো সেই ১০ জনের ভিতরে একজন ক্রেতা আবার আসছে এবং সেইম প্রোডাক্ট নিচ্ছে। এবার আপনি তার সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করার জন্য কিছু ছাড় দিতে পারেন অথবা ফ্রি দিতে পারেন এতে যেটা হবে, এরপর থেকে তার যখন সেইম প্রোডাক্ট দরকার হবে সে অবশ্যই আপনার থেকেই নিবে এবং সাথে করে কিছু ক্রেতা আপনাকে এনে দিতে পারে। সো আপনার প্রোডাক্টের সেল বাড়াতে Public Relation অবশ্যই দরকার
Direct Marketing: Direct Marketing এর ক্ষেত্রে আমরা সরাসরি আমাদের প্রোডাক্টকে ক্রেতার সামনে তুলে ধরতে পারছি। Advertising এবং Sales Promotions এই দুইটা মিলিয়ে মুলত কানেক্ট করা হয় Direct Marketing। আমাদের টার্গেট থাকবে ক্রেতাকে আগ্রহী করা এবং সাথে সাথে সেই প্রোডাক্টটা আমরা ক্রেতার কাছে বিক্রি করার
🔊 আমার মতামত - জীবনের সব কিছুতেই কিছু থাকে উদ্দেশ্য এবং কিছু থাকে বিধীয় তাইনা। যেকোন বিজনেস শুরু করার আগে এই
The 4 Ps of Marketing - সম্পর্কে বিস্তারিত জানা উচিত। উপরের আলোচনা থেকে এটুকু এটলিস্ট বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে পুরো
পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য।